চলচ্চিত্রের গ্রামার থেকে বাংলা বানান নীতি খুব ভোগাচ্ছে , কিন্তু এই গ্রামাটিকাল চলচ্চিত্রটি নিয়ে না বললে ঋণ থেকে যায় । বিভিন্ন টাইপের শর্ট কাট শিখেও চারদিকের ফ্লিম মেকাররা গল্পটা কেন শেষ প্রজন্ত্র বলে উঠতে পাড়েনা সেই উত্তর এই লেখাটায় খোজা হয়েছে । ভূমিকা শেষ আলাপে আসি ।
সিটিজেন কেন একটি চমৎকার চলচ্চিত্র তাতে খুব কম মানুষেরেই সন্দেহ আছে। রবার্ট উইস চমৎকার এডিটিং করেছেন, ভ্যান নেস্ট তার আর্ট ডিরেকশনের জন্য ইতিহাসে থেকে জাবেন, সর্বপোরি ওরসন ওয়েনসকে অমর করে রাখবে এই চলচিত্র টি,বোদ্ধাদের কাছে যেমনি সাধারন মানুষের কাছে ঠিক তেমনি ।সিটিজেন কেন চরিত্রটিতেই ওরসন ওয়েলস বেচে থাকবেন যতদিন চলচিত্র নামক বস্তুটি থাকবে।
পুরো চলচিত্রটিতে যে শব্দটা নিয়ে খেলা করা হয়েছে তার নাম ” রোসবর্ড” ।এই শব্দটা দিয়ে শুরু আর শেষ হয়েছে এই শব্দটা দিয়েই ।এটাকে আমরা দর্শক ধোরে রাখার কৌশন বলি আর ” আন্টিসিপেসন” বলি যাই বলি শব্দটার মহত্ব আছে।পুরো চলচ্চিত্র জুরে ব্যবহার হয়েছে শব্দটা।
চলচিত্রটির প্রথম বার কেনের মৃত্যুর সময় ব্যবহার হয়েছে শব্দটি।জমে ওঠে ” আন্টিসিপেসন”টি.. ..
দ্বিতীয় বার কেনের মৃত্যুর সময় ব্যবহার হয়েছে যে শব্দটি তা বার বার বলতে থাকে ,খুজে বের করার পরিকল্পনা করা হয় এবং কে সে বা সেই বস্তু তার খোজে বেরোয় একদল রিপোর্টার। আরও জমে ওঠে ” আন্টিসিপেসন”টি.. ..
তৃতীয় বার শুশান আলেকজান্ডা এর সাথে কথা বলতে না পেরে তাকেই মনে করা হয় ” রোসবর্ড” এবং এই কথাটি উঠে আসে টেলিফোনে কথপোকথনের মধ্য দিয়ে।* শুশান আলেকজান্ডা তরিয়ে দেয় রিপোর্টর দের। আরও জমে ওঠে ” আন্টিসিপেসন”টি.. ..
চতুর্থবার তার ছোটবেলা থেকে ৬০ বছর দেখানোর পরে ডাইরি ক্লোজ করা হয় ঐ খানের কর্মরত নরীকেই বলা হয় সে ” রোসবর্ড” কিনা । *কেনের ছোট বেলা জানতে পরি আরও জানতে পারি কিভাবে কেন নিউজপেপার ব্যাবসায় নামে কিন্তু “রেজবর্ড” সমস্যার সমাধান হয় না আরও জমে ওঠে ” আন্টিসিপেসন”টি.. ..কিন্তু এখানে পাওয়া যায় মি. বার্নস্টিকে
পঞ্চমবার বোর্ঢের চেয়ারম্যন মি. বার্নস্টিনের কাছে জানতে চাওয়া হয় ” রোসবর্ড” সমন্ধে।*সে কি কৌশলে নিউজপেপার ব্যবসাচালাত সেখান থেকৈ
আরম্ব করে এমিলি নরটনের সাথে কিভাবে বিয়ে হয় তা বলে কিন্তু চাপা পরে যায় ”রোঝবার্ড” আরও জমে ওঠে ” আন্টিসিপেসন”টি.. .. কিন্তু এখানে পাওয়া যায় কেনের বন্ধু মিষ্টার লিল্যান্ডকে
ষষ্ট বার এই শব্দটার অর্থ জানতে চাওয়া হয় কেনের বন্ধু মিষ্টার লিল্যান্ড এর কাছে।*সে কেনের গভর্নর নির্বাচনের প্রচর থেকে আরম্ব করে কিভাবে নরটনের সাথে বিচ্ছেদ এবং শুশান আলেকজান্ডার এর সাথে কিভাবে বিয়ে হয় সব বলে কিন্তু চাপা থাকে শুধু ”রোসবর্ড” রহস্য আরও জমে ওঠে ” আন্টিসিপেসন”টি.. .. এখানে পাওয়া যায় আবার কেনের স্ত্রী শুশান আলেকজান্ডাকে ।
সপ্তম বার আবার শুশান আলেকজান্ডার এর কাছে যাওয়া হয় ” রোসবর্ড” কি বা কে তা জানতে।*সে সব বলে তার সাথে প্রথম দেখা থেকে শুরু বিচ্ছেদ প্রজন্ত শুধু বলতে পারেনা ” রোজবর্ড” সমন্ধে আরও জমে ওঠে ” আন্টিসিপেসন”টি.. .. .. কিন্তু এখানে পাওয়া যায় জেনেডু প্যালেসের ” প্রধান কর্মচারিকে যে তদের শেষ কথার সময় উপস্থিত ছিল ।
অস্টমবার ”জেনেডু প্যালেসের ” প্রধান কর্মচারির কাছে জানতে চাওয়া ” রোসবর্ড” সমন্ধে ।প্রধান কর্মচারির কাছ থেকে জানা যায় যখন শুশান আলেকজান্ডার কেনকে ছেরে যখন চলে যায় তখন এই ” রোসবর্ড” শব্দটি সে উচ্চারন করে এবং এর বেশি কিছু সে জানে না।
চলচিত্রের শেষে এই রহস্য যদিও উৎঘাটিত হয় তবে বিস্ময়কর ব্যাপার হলো কিভাবে একটা শব্দের আন্টিসিপেসন দিয়ে বলা হয়েছে এত ঘটনাবহূল একটি মানূষের জীবন যে নিজে চালাত কয়েকটি সংবাদপত্র এবং আজীবন নিজেই ছিল সংবাদ.. ..
শর্টকাটে কিম্বা লংকাটে জাম্পকাটে ম্যাসকাটে গল্প বলা জায়না ওটা স্নাপশর্ট সাজানোর পদ্ধতি, কিম্বা স্মৃতির রি ক্রিয়েশন । এটা মাথা কিম্বা পর্দা দুই জায়গাতেই বিরক্তিকর। পূর্বধারনার ধারনা থেকে ভাবা লাগে। একটা চলচ্চিত্র হতে গেলে তখন মানুষ সেটা শ্রেনীভেদে সেবন করে ।