কোন কিছু শিখতে হলে সেটা নিয়ে পড়ে থাকতে হয় । এমনকি সেটা মাথায় না ঢুকলেও । একটু ব্রুটাল মনে হল । আসলে শিক্ষা এক ধরনের শাস্তি । এই শাস্তির মাঝের পুরুস্কার থেকে শিক্ষা হয় । শাস্তি গুলো ভুলে যায় মনে থাকে পুরুস্কারের আনন্দ আর ম্মৃতি ।
শিক্ষার জন্য এই আনন্দ যত বেশি হয় তত শেখে ।
ধরুন আপনি সাতার শিখবেন ।
আজ পা ভিজালেন ,
কাল গোড়ালি ,
পড়শু কোমর
তারপড় ভয় পেয়ে চার দিন পানির কাছে গেলেনেই না ।
আবার আপনার পা ভিজানো থেকে আরম্ব করতে হবে , এবারে হয়ত পিঠে পানি দিতে ৫ দিন লাগিয়ে দিলেন তারপড় আবার ৭ দিন সাতার শেখার কোন খবর নাই । আবার পা ভিজানো থেকে শুরু । এবার দেখলেন নদী শুকিয়ে গেছে অথবা ক্ষরশ্রতা হয়ে গেছে । আপনার সে বছর আর সাতার শেখা হবেনা ।
এখানেই কমপ্যাক্ট লারনিং । আপনি সরাদিন সাতার শিখুন । হাটু পানি গলা পানি করতে করতে হয়ত ডুব দিলে পানি খাবেন । এটাই স্বাভাবিক পানি না খেয়ে সাতার শিখতে পেড়েছে এমন সাতারু পাওয়া মুসখিল ।এভাবে ৭ দিন নিয়ম মাফিক নাকানি চুবানি খেলে নিশ্চিত সাতারটা শিখে যাবেন ।
আমারা যারা প্রগ্রামার তাদের হাটু পানি কোমর পানি অবস্থা থেকে যখন নাকানি চুবানি খেয়েছি তারাই কিন্তু শিখে গেছি ।
আমার মতে ১৬০ ঘন্টার কমপ্যাক্ট লারনিং দরকার প্রথম কিছু শিখতে হলে ।
মানে ৮ ঘন্টা করে ২০ দিন । সপ্তাহের দুই দিন ছুটি ধরলে ১ মাস । এবার ধরুন আপনি ৮ ঘন্টা সময় দিতে পড়লেন না ভাবলেন ৪ ঘন্টা করে ২ মাসে শিখব । নিয়ম অনুযায়ী আপনার সময় ডাবল হয়ে যাবে । মানে ২ মাসের জায়গায় ৪ মাস লাগবে । এবার ভাবলেন ২ ঘন্টা করে শিখব তাহলে ৮ মাস লাগার কথা , আসলে লাগবে ১৬ মাস । মনে করলেন ১ ঘন্টা করে শিখবেন সময় লাগার কথা ৩২ মাস আসলে লাগবে ৬৪ মাস মানে সারে ৫ বছর ।
এবারে বুঝতে পড়ছেন যারা শিখবেন শিখবেন করে শিখছেন না তার কেন আর শিখতে পড়ছেন না । আপনার মনে হয়েছিল ১ মাসে শিখে যাবেন কিন্তু ফাকি দিয়ে দেখলেন বছর ঘুরে গেছে তারপড়ও কিছুই পাড়েন না ।
সমস্যাটা তৈরী হয় তখন যখন আর আমাদের মটিভেসন থাকে না । আমরা মনে করতে আরম্ব করি বিষয়টি আর আমাকে দিয়ে হবে না । আপনার শেখার পদ্ধতিগত ভুলের কারনে আপনি ঝড়ে পড়েন ।
সৃষ্টিকর্তিা সাবাইকে সমান ভাবে তৈরী করেছে । অন্যকেউ যদি ১৬০ ঘন্টায় কোন কিছুর মজাটা নিতে পাড়ে আপনিও পাড়বেন ।
সমমনাদের সাথে সহোযোগিতায় শিখুন । শুভকামনা ।