আমি ছোটবেলা থেকেই আমার মত যারা কোন কিছুতেই মটিভেটেড না তাদের জন্য টুলস তৈরীর কথা ভেবেছি, প্রথম টুলসটি হল রাস্ট্র, এই টুলসটি এমন ভাবে বানাতে হবে যাতে ব্যাক্তি মানুষের কোন কিছুতে আগ্রহ না থাকলেও তাকে বাচিয়ে রাখবে। মানুষের বাসায় খাবার চলে আসবে, অসুস্থতায় ঔষধ চলে আসবে।
টুলস দুটি পাইনি বলেই তৈরীর চেষ্টা।
এবার একটু মটিভেটেড মানুষের কথা বলি, এই পৃথিবীর যত মানুষ সৃষ্ট সমস্যা তা ডিমটিভেটেড কারোর দ্বারা তৈরী না। মটিভেটেড মানুষের দ্বারাই সমস্ত কল্যান এবং অকল্যান তৈরী হয়েছে।
মা এবং বাবা এই দুটি প্রানি মারা যাবার আগ প্রজন্ত সন্তানকে দৌরের উপর রাখে, সন্তানেরা এই জিনিসটাই মিমিক করে, যত দিন সন্তানেরা সন্তান না পায় এই জিনিসটা সে তার বন্ধুদের এবং বন্ধুহিন হয়ে পড়লে তার পরিচিতদের মাঝে চর্চা করে, কিন্তুু জিনিসটা ভয়াবহ হয় যখন সে এই জিনিসটা অপরিচিত দের মধ্যে চর্চা করতে থাকে, আজ স্কামারে ভরে গেছে পৃথিবী, বাংলাতে ঠকবাজ কিম্বা ফটকাবাজ স্কামারের কাছাকাছি শব্দ।
মানুষকে ইনজেকশন দিয়ে ঠকানো যায়, এর সাইন্টিফিক দিকটা বলি, আমাদের যে প্লেজার হরমোন সবগুলোই উত্তেজক, ডোপামিন, ফিনাইল ইথাইল মিন, অক্সিটোসিন, সেরাটনিন এর সবগুলো গলার উপরে এবং মাথার নিচথেকে ঝড়ে। এগুলো সবেই কেমিকাল সিরিঞ্জ দিয়ে রক্তে মেশালে একেই ফলাফল পাবেন এবং ডাক্তাররা এগুলো নিয়মিতই ব্যাবহার করেন।
টুলস এবং ইনিস্টিটিউসনের কথা বলছিলাম, হসপিটাল এর কথা বলি এটা যত্ন নেয়ার যায়গা অসুস্থরা এখানে যাবে। ক্যান যাবে? কারন তার চারিপাশের মানুষ যে যত্ন নেয় তাতে তার বেচে থাকা সম্ভব নয়। তাই সে অধিকতর যত্নের জন্য এবং বিশেষ টুলসের জন্য যত্নালয়ে যায়। হসপিটালের বাংলা এখনও আবিষ্কার হয় নাই কারন এর সহজ বোধটাই বাংলায় তৈরী হয় নাই। এখন পুরো রাস্ট্রটাকে, আমার যে বিশ্ববোধ তাতে পুরোবিশ্বকেই হাসপাতাল বানানো দরকার কিন্তুু এতে কিছু ভয়ংকর বিবাদ তৈরী হবে টাকাআলা মোটিভেশন ব্যাবসায়িদের। তবে আফ্রিকা থেকে ইন্দোনেশিয়া এর মধ্যে যে ভারত, চিন আরও ছোট ছোট যত রাস্ট্র আছে, মধ্যপ্রাচ্য আছে এদের প্রত্যেকের চেহার একই এবং ভয়াবহ, এগুলোকে যত তারাতার যন্তালয়ে রুপান্তর করা যায়।
সিনারিওটা বলি যত্ননেয়ার জন্য জাতিসংঘ কে আমেরিকা টাকা দ্যায় কিছু অন্য দেশও দেয়, কিন্তু টাকাটা সুদ আর বোঝা হয়ে এখানের মানুষের ঘাড়ে চাপে আর টাকাটা এইসমস্ত প্রতিষ্ঠানে কর্মরত লোকের সুরক্ষা, বাসাভাড়া আর গাড়িত তেল কিনতেই ফুড়িয়ে যায়।
যে যত্ন নেয়ার কথা এরা বলে, এরা মটিভেশনের যে ফাদ পেতেছিল তা খপ্পরে পড়ে মানুষ আরও অযন্তে কাটিয়েছে।
টুলস দিয়ে আরম্ব করেছিলাম এবার টুলস দিয়ে শেষ করি। ব্লকচেইন টেকনোলজি পৃথিবীর অনেক সমস্যা দুর করে দেবে, কিছুটা আশা বেচছি মনে হচ্ছে, একটু খোলাসা করি ধরুন আমি মাটিখুরে হিরা পেলাম কিম্বা ইউরেনিয়াম পেলাম এটা বিক্রি করে টাকা পাওয়া যাবে। টাকা পেলাম। এরেকটু অবজেক্সিফাইড করি, ধরুন আমার মাথায় একটা বুদ্ধি এল যাতে এমন একটা আবিষ্কার হল এখন মানুষকে আর হৃদরোগে মরতে হয় না, আমি সেটা জনে জনে ছরিয়ে দিয়ে অনেক অনেক টাকা পেলাম এখন আমি টাকাটা পৃথিবীর সবচাইতে খারাপ অবস্থায় আছে এমন লোকদের কাছে পৌছতে চাই। ব্লকচেইন সেটা করবে এবং এই যে সুদ আর মোটিভেশানাল প্যাচওয়ার্ক আছেনা এটা বাদ দিয়ে করবে। তাতে কি হবে। বাবা মাকে যে দৌরানিটা তার সন্তানকে দিতে হচ্ছে তা কমে যাবে, বেচে থাকার জন্য আামাদের আর মটিভেষনের বড়ি খেতে হবেনা।
আমার মতে ব্লকচেইন ডিস্ট্রিবিউটেড লেজার টেকনোলজি কি?
একটু বিস্তারিত বলি, পেচিয়ে বলি। ব্যাংক টাকা ছাপায়, ব্যাংক হল টাকা ছাপানোর মেশিন। আরেকটু গভিরে গেলে বন্ড বিক্রির দোকান। বন্ড কি? বন্ড হল চুক্তিপত্র। কেন্দ্রীয় ব্যাংক যেটা অন্য ব্যাংকের কাছে ব্যাচে। এই চুক্তিপত্র এতবেশী সবাই বিক্রি করে ফেলেছে এখন এটা দিয়ে এখন আর মুদ্রামান রাখা সম্ভব নয়। মুদ্রামান কি? এটা এত সহজ যে কেউ বুজতে চায় না। আমি বুঝতে গিয়ে দেখেছি আমি নিজেও বুঝিনা । তাই মুদ্রামান মানে মুদ্রামান। বাংলাদেশে ১৯৭২ সালে প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক ৪৭ টাকা বেতন পেতেন আর এখন ১৬০০০ টাকা বেতন পান, কিন্তু তখন ৪৭ টাকা যা কিনতে পাড়তেন এবং এখন যা কিনতে পাড়েন তা একই এর মানে তখনকার ৪৭ টাকা আর এখনের ১৬০০০ টাকা সমান আর মাঝখানের যে মিথ্যাটা এটা ইনফ্লেসন বা মুদ্রার অবমূল্যায়ন। এর সাথে ব্লকচেইন টেকনোলজির সম্পর্ক কি? ব্লকচেইন ডিস্ট্রিবিউটেড লেজার মানে এই মিথ্যাটা বলা যাচ্ছে না কারন সবাই দেখতে পাচ্ছে। এবং একধাপ এগোলে বন্ড বা চুক্তি পত্র কিনতে আর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে যাওয়া লাগবে না, ব্লকচেই ব্যাবহার করে চুক্তি পত্র বানানো যায় এবং তার মধ্যে মিথ্যা বলা যায় না। আরও এক ধাপ যদি আগাই, আপনি একটা আবিষ্কার করলেন সেটা বানাতে মেশিন কিনতে হবে আপনার টাকা নাই আপনি আই সি ও বেচতে পাড়বেন তাতে দারে দারে হাত পাততে হবে না।
এর সব কিছুই সম্ভব হচ্ছে ব্লকচেইন টেকনোলজির কারনে।
বাংলাদেশ টাকা, ভারতে রুপি, নেপালেও কিন্তুু ভারতের রুপি চলে কিন্তু ক্রিপ্টোকারেন্সি চলে সারা পৃথিবীতে সমস্ত ইউরোপ, কানাড ক্রিপ্টো এটিএম মেশিনে ভরে উঠেছে। আমাদের দেশেও এই এটিএম দ্রুতই চলে আসবে আমার ধারনা।
ডিটিভেষন দিয়ে শেষ করি, কিছু করার থেকে কিছু না করা ভাল আর কোন ভাবে যদি উত্তেজিত হয়ে যান যে করতেই হবে সেটা প্রকাশ করুন, এই কেমিকাল রিয়াকসনের ভ্যালাতে আমরা ভেষে যাচ্ছি আবেগ আটকে ভ্যালাটাকে থামিয়ে দেবেন না। আপনি ডিমটিভেটেড কিন্তু একা নন আমিও আপনার সাথে ডিমটিভেটেড।