ভূমিকম্প কোনো সতর্কবার্তা দিয়ে আসে না।
কিন্তু ভূমিকম্প চলে যাওয়ার পর যে বাস্তবতা শুরু হয়—সেটাই সবচেয়ে ভয়ংকর।
ধ্বংসস্তূপ, যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতা, আতঙ্ক, খাদ্য ও চিকিৎসার সংকট, এবং সবচেয়ে বড় বিষয়—মানুষের পাশে মানুষ না থাকা।
এই বাস্তবতা থেকেই আমি একটি ভূমিকম্প-পরবর্তী সামাজিক সুরক্ষা ভিত্তিক মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করার কাজ শুরু করেছি।
এই অ্যাপ্লিকেশন কী করবে?
এই অ্যাপটির মূল লক্ষ্য হবে ভূমিকম্পের পরে মানুষকে সংগঠিত করা এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। যেমন—
✔️ ভূমিকম্প-পরবর্তী জরুরি যোগাযোগ ব্যবস্থা
✔️ ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের অবস্থান ও প্রয়োজন চিহ্নিত করা
✔️ স্বেচ্ছাসেবক, চিকিৎসক ও সহায়তাকারীদের এক প্ল্যাটফর্মে আনা
✔️ নিরাপদ আশ্রয়, খাবার ও চিকিৎসা তথ্য শেয়ার
✔️ গুজব নয়, যাচাইকৃত তথ্য পৌঁছে দেওয়া
✔️ স্থানীয়ভাবে সামাজিক সুরক্ষা নেটওয়ার্ক তৈরি করা
এটি কোনো বাণিজ্যিক অ্যাপ নয়।
এটি একটি মানুষ-কেন্দ্রিক, সমাজ-কেন্দ্রিক উদ্যোগ।
কারা এই উদ্যোগে যুক্ত হতে পারেন?
আপনি যদি—
একজন ডেভেলপার / প্রোগ্রামার হন
একজন ডিজাইনার হন
ডাটা, কমিউনিকেশন, সোশ্যাল ওয়ার্ক-এ আগ্রহী হন
অথবা শুধু একজন সচেতন মানুষ হন, যিনি দুর্যোগকালে পাশে দাঁড়াতে চান
তাহলে এই উদ্যোগ আপনার জন্য।
ডিগ্রি নয়, মানসিকতাই মুখ্য।
এই অ্যাপ্লিকেশন গড়তে দরকার মানুষ, যাদের ভেতরে দায়বদ্ধতা আছে।
কেন এই উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ?
বাংলাদেশ ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকা।
প্রশ্ন হলো—
আমরা কি শুধু দুর্যোগের পরে আফসোস করবো,
নাকি আগে থেকেই একটি সামাজিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তৈরি করবো?
এই অ্যাপটি সেই প্রতিরক্ষার একটি ছোট কিন্তু বাস্তব পদক্ষেপ।
যোগাযোগ করবেন যেভাবে
এই উদ্যোগ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে, মতামত দিতে বা সরাসরি যুক্ত হতে—
নিচের ফেসবুক পোস্টে কমেন্ট বা ইনবক্স করুন:
Facebook Link:
https://www.facebook.com/share/p/1BrDPx93Yp/
—
দুর্যোগের সময় সরকার একা যথেষ্ট নয়।
সমাজকে নিজেকেই প্রস্তুত হতে হয়।
আপনি যদি বিশ্বাস করেন—
“প্রযুক্তি মানুষের জন্য”
“মানুষ মানুষের জন্য”
তাহলে এই উদ্যোগে আপনার উপস্থিতি জরুরি।
একসাথে থাকলে, আমরা শক্তিশালী।