আমার বিদেশী শ্রমিক মামা, সবচাইতে ধনি শহরের শ্রমিক সে, আমেরিকান শহর। খুব খাতির আমার সাথে ভদ্রতার খাতিরে ফোন দিলে ধরি ধরতেই হয় অম্রিকা বলতে কথা। বাংলাদেশে এসে আমার সাথে জব্বর খাতির দেখািইছে, আমারে নিয়া ঘোড়াঘুড়ির একসেস।
যাওয়ার সময় তার কিছু জিনিস আমারে দেয়ার ইচ্ছা ছিলা, আমি রাখি নাই এজন্য এখনও টর্চার সহ্য করতে হয়, সে ভেবে বসছে আমি লোভি না। জিনিসগুলা রেখে বাঙ্গালীর ডোস্ট কেয়ার ভাবটা দেখাই দেয়ার দরকার ছিল, থাহলে আর টর্চার কন্টিনিউ সহ্য করা লাগতো না ।
যাই হোক সে তার বড় ভাই এর নামে গিবত করতে আমাকে ফোন দেয়। একখানা জব্বর বাড়ি করছে সে, এখনও শেষ হয় নাই। সেটা নিয়ে একই আলাপ বার বার করে, আমি শুনি।
তার বড় ভাই তারে কখনও টাকা সাধে নাই কিন্তু বড় বড় রেন্ডি গাছ তার ভাইএর আছে সেটা বেচলে অনেক টাকা, এটা নিয়েও তার অনেক আলাপ।
আমি একদিন বিরক্ত হয়ে বললাম মামা আপনার ওখানে ১০০ ডলার দিনে রোজগার স্বাভাবিক আর এখানে আপনার ভাই যতই শারিরীক পরিশ্রম করুক তার রোজগার শ্রমিক হিসেবে ৫ ডলার।
তার এই কথা ভালো লাগলো না। বললাম মামা এখানে যতই পরিশ্রম করুক না কেন। এখানে পরিশ্রম করে আপনার ওখানের শ্রম মূল্য তৈরী করা যাবেনা।
তার এ কথা ভালো লাগলো না। সে ওই দেশে বোতল টোকায় তারপর সেটা বিক্রি করে তাতে তার গ্যাসের, মানে গাড়ির তেল কেনা টাকা হোয়ে যায়, এজন্য সে খুব গর্বিত। কারন সে পরিশ্রমি।
সে পরিশ্রমি হওয়াতে আমার সমস্যা নাই সমস্যা সে যখন তার বড় ভাই এর পরিশ্রমের মূল্য তার পরিশ্রমের মুদ্রা মূল্যের সাথে তুলনা করে।
এই ঝামেলাটা সব খানেই আছে।
মামা বোতল বিক্রি করে রোজগার করে , কেউ মিসাইল বিক্রি করে রোজগার করে। কিন্তু যারা ফসল ফলায়, মাছ ধরে। তারা কেন মাছ বিক্রি করে মিশাইল বিক্রির সমান টাকা পায়না। এটা নিয়ে টিটকিরি করলে আমার ভেতরে নিজেকে খুব অসহিষ্ণু মনে হয় । মনে হয় দেই মিশাইল ফ্যাক্টরি ভেঙ্গে।
জ্যান পেরি জ্যানেটের একটা মুভিও আছে এটা নিয়ে মুভিতে একটা অস্ত্রতৈরির কারখানা ভেঙ্গে দেয়া হয়।
বিদেশি পুজির চাপ তার রিলিজিয়ন কনর্ভিসনে লাগুক, কারখানা বানাতে লাগুক, ভালো সরকার আনতে লাগুক। সব কিছুর পেছনে মামার যুক্তিটা কাজ করে। এই বোতল টোকানো লোকগুলো মিসাইল মারার ভয় দেখাইয়া চরিদিক নরক বানাইয়া রাখছে।
নইলে এতজন রেসলিং প্রডিউসার এখন প্রেসিডেন্ড হইয়া বিশ্ব চালায়। ওরে তো আমার দেশে সমাজ বন্দ দিয়া রাখতো যে তুই মাতাল, মাগিবাজ তোর স্থান অভদ্র পল্লিতে, আমার দেশের অভদ্র পল্লিতেও যে সাধুতার একতারা বাজে ও রেসলিং ছাইরা নিশ্চিত ডুগডুগি বাজাইতো। যাই হোক ।
মোদ্দা কথা বোতল বিক্রির টাকা এখানের এক ভাঙ্গারির দোকানদার তোমারে দিলে নিতানা, তোমারে সেই টাকা ডলারে পাঠাইলেও নেয়ার দরকার নাই। যদি সেটা নাও ওই ছোটলোকি টাকা একসময় তোমার ভুমি সংস্কারের নামে ব্যাবহার হইলে সেই ভূতি থিকাই চাপা দীর্ঘশ্বাস আসবে।