আমার সাথে অহিন্দু এক ইন্টেলেকচুয়াল এর তার পিলগ্রাম শেষে কথা হয়েছিল বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে। সে খুব অপ্লুত ছিল তার ভ্রমন শেষে।
এই ভ্রমন যে সামাজিক মর্জাদা তৈরী করেছে তার মূল্য জাচাইয়ের প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল সে। একেতো সে আধা নাস্তিক, তারপর যে পবিত্র উদারতার উদাহরণ সে বারবার হাজির করছিল, তা আমাকে কিছুটা আঘাত করার জন্যই। সে ধরতে পাড়ছিলনা উদারতাতে আমার অভিজ্ঞতা ভিন্ন এবং উন্নত ।
একসময় অহিন্দু ইন্ডিয়ান, পাকিস্তানি পুরুষের ইউরোপীয় অচরনের কথা উঠলো, তাদের সবাই কে যখন হোয়াইট নারীদের চোখদিয়ে দেখা হলো, তাদের চেহারা যে বিভৎস রুপটা ভেষে ওঠে তা উঠে এল।
ওই আড্ডায় একজন ঢাকা রিসার্চ ইনিস্টিউটের রিসার্চর ছিল আর বাংলাদেশ বাংকের একজন কর্মকর্তা ছিল। দুজনেই ওই ইন্টেলেকচুয়ালের বন্ধু, একজনর বৌ সুন্দরী সেটা একটা টেনসনের কারন হয় তার, আরেক জনের বউ সন্তান আছে তার পড়েও একজন প্রেমিকাও আছে। দুজনেই তার ইন্টেলেকচুয়াল বন্ধুকে সমর্থন করলো।
তারা তিনজনেই একমত যে সাবমিসন করানোর জন্য ধর্ষন প্রজন্ত যাওয়া যেতে পাড়ে। এবং তারা আমাকে এতটা গুরুত্ব দেয়ার কারন তখন এই ইন্টেলেকচুয়াল এর ক্রাসের সাথে আমার নিয়মিত ক্যাজুয়াল ডেট হতো, সবাই সেটা পাবলিকলি দেখেছে, আমরা শুধু প্লেটনিকলি সময় দিতাম। এরা কেউয়েই যানতো না এদের গল্প গুলো আমার ডেটি আমাকে বলে দিয়েছিল। যাই হোক। আমি অবাক হলাম আমার ওই ডেটিও আমাকে একদিন মজা করে বলল, তাকে আমি ধর্ষন করতে পাড়বো কিনা। আমি শুধু অবাক হইনি, আমি ফ্রিজ হোয়ে গিয়েছিলাম। তার অনেক দিন পড়ে তাকে বলেছিলাম তুমি তো নারীবাদি তুমি সিমোন দ্যা বোভেয়া পড়েছ ও আমাকে অবাক করেছিল বলে যে ও পড়েনি।
এদের কারোরেই নাম বললাম না, কিন্তু এই টাইমলাইনটা আমার জীবনে মানুষের সমার্পনের ধরনা নিয়ে ভাবিয়েছে। এরা সবাই অহিন্দু এবং পিএইচডি করা বা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমগোত্রীয়। মনোজগতে ডিজায়ারের বাউন্ডারিতে ধর্ষন স্বীকৃত।
ব্যাক্তিগত বিছানা আমার আলোচনার বিষয় না, একটা কমিউনিটি আলাপের মধ্য দিয়ে ব্যাক্তির মনোজগৎকে টাচ করা এবং এর সামাজিক স্বীকৃতি দেখা।
পুরুষের সামাজিক সীমারেখা নিরুপন করা। তার ডিজায়ারকে কোন বাউন্ডারি সিকৃতি দেয় তা নিরুপন করা, মেট এবং মিটিং কে বোঝা।
সবমিসিভ ছোট ব্যালা নারীরে ধর্ষক সহায়ক করে তোলে, হিন্দু ধর্মের নারীরা সাবমিসিভ না তারা প্রয়োজনে ধংস্বাত্মক কিম্বা ভয়ংকর প্রতিবাদি।
মৌলবাদ বা মৌলিকতার কথা যদি বলি, এই মৌলিকতা অন্য যে কোন মৌলবাদ বা মৌলিকতার ধংষের কারন হবে।
কুমিল্লা সুবাস বোসের আজাদ হিন্দ ফোর্সকে বৃটিশ বিরোধী যুদ্ধে শেষ ফোর্ট হিসেবে ব্যাবহার হোতে দিয়েছে, সেখানের ওই বিপ্লবী পরিবারের নারী শান্তাকে ধর্ষন করে তার ভিডিও করে ছরিয়ে দিয়ে, একটা জাত ভীতি তৈরীর আন্তর্জাতিক চেষ্টার উল্টো ফল আজকে মৌলবাদীদের দিয়ে যেতে হোচ্ছে, হবে।
শান্তা আজ প্রতিবাদের সিম্বলে পরিনত হল, এর পড় থেকে এই সাম্প্রদায়িক পরিকল্পনাতে কোন নারী নিজেকে আর একা মনে করবেনা। তার পাশে দেশে জাতি এবং পুরো বিশ্ব আছে।