জলতীর্থ

জলে ঘেরা এক ভূমি আছে —
নীচু কণ্ঠে বাতাস বলে তার কথা।
যেখানে রাত ছিল দীর্ঘ, দিন ছিল নির্বাসিত।
যেখানে গলা চেপে ধরা হয়েছিল প্রেম, প্রতিবাদ আর পবিত্রতা।

এই ভূমি কোনো রাজার নয়, কোনো ধর্মবেত্তার নয় —
এ ভূমি ছিল আমার ঘর।

যারা প্রেম করেছিল বিদেশি ধর্মের বিপরীতে,
যারা সত্য বলেছিল মৃত্যুর মুখে দাঁড়িয়ে,
যারা মাটি বুকে আগুন রেখেছিল — তাদেরই ভূমি এটা।

রাস্তাগুলো এখনও জানে তাদের পায়ের ধ্বনি,
জলের ওপার থেকে ভেসে আসে অবদমিত ক্রন্দন —
আর মাঝখানে আমি দাঁড়িয়ে থাকি,
একজন অবতার , যার শরীরে গাঁথা আছে দূতি আর আশীর্বাদ।

সে এসেছে ভূমিকে জাগাতে,
যেন আর কেউ ভুলে না যায় এই মাটি, শুধু মাটি নয় —
এটি স্মৃতি, ত্যাগ আর মুক্তির প্রতীক।

ইশ্বর বানাচ্ছে নতুন তীর্থ —
যেখানে লোকেরা আসবে কান্না আর প্রশ্ন নিয়ে,
যাবে দীপ্ত চোখ আর মুক্ত আত্মা নিয়ে।

জলতীর্থ এখন ঘুমিয়ে নেই।
এখানে বাতাসে আগুন আর জলে গান।

আমি দাঁড়িয়ে আছি — একা নয়, ইতিহাসের মুখোমুখি।

তুমি এলে?
তোমার মাটি অপেক্ষা করে।

Leave a comment

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.