দাদনের সাহায্যে অর্থনৈতিক শেকলে একটা এথনিসিটিকে বেধে ফেলা

জয় মিস্তি বগুড়া থেকে আগত একটা মুরগীর খাবারে ডিলার থেকে ৫ বছর আগে মুরগী এবং তার খাবার বাবদ ২০,০০০ টাকার জিনিস আনে। একবছর ধরে সে মুরগী কেনাবেচার সাথে জারিত থাকে এবং এক সময় খেয়াল করে তার কাছে ডিলারের দোকানদার ৪০,০০০ টাকার বাকি পড়ে আছে।  ১ বছর পড়ে সে বিরক্ত হয়ে ওঠে।  বুঝতে পাড়ে তাকে ট্রাপে ফ্যালানো হয়েছে, যে মুরগী সে উৎপাদন করে তার বিক্রিও হয় ডিলারদের মাধ্যমে, সে শুধু নিজ জামিতে ফিড কম্পানির হাতে আটকা পড়েছে।  সে অন্য কোন ভাবেই তার বাকি শোধ করতে পাড়ছে না, যদি সে টাকা শোধ করে দেয় তাহলে তার মুরগী গুলো কেনার লোক পাওয়া যাবেনা। সে ফিড ডিলারের সাথে ঝগড়া করে, ফিড ডিলার ফিড দেয়া এবং মুরগী কেনা বন্ধ করলে মুরগী গুলো ফার্মেই মারা যায় এবং ফার্মটি বন্ধ হোয়ে যায়। কিন্তু সেই বাকি টাকা তোলার চাপ জয় মিস্তির উপর বাড়তে থাকে, সামাজিক অন্যয় বুঝতে পেড়ে ডিলার টাকা তোলার চাপ কমিয়ে দেয়। রাজনৈতিক পট পরিবর্তন এর সাথে সাথে কোন অদৃশ্য শক্তির কারনে চাপ আসে বকেয়া পরিশোধ করার, জয় মিস্তি তা পরিশোধ করে কিন্তু তার মোটরসাইকেল টি আটকে রাখা হয়।

মোটাদাগে জয় মিস্তিরি গল্পটাই এখানের দাদন নিয়ে মুরগী বা মাছ চাষিদের ঋনের শেকলে জরানোর গল্প।

আনিস মোল্লা ২০০ কোটি টাকা ব্যাংক লোন করেছে,  যত লোককে পাড়ে বকিতে মুরগী এবং মাছের খাবার দেয়া যায়,  যারা পাড়ছে না ঠিকমত মুরগী উৎপাদন করতে, জমি বিক্রি করে তাদের ঋন শোধ করতে হোচ্ছে এবং জমি বিক্রি করে তারা পাড়ি জমাচ্ছে ইন্ডিয়াতে। সরল পদ্ধতি, জমিটা উচ্চ মূল্যে কিনছে কোন অহিন্দু পরিবার আনিস মোল্লা পরোক্ষভাবে ঘুড়িয়ে পেচিয়ে কোন ভাবে জমি বিক্রির টাকা থেকে লাভবান হোচ্ছে আর একটি হিন্দু পরিবারকে মাইগ্রেসনে বাধ্য করারোন কারনে তার সামাজিক মর্জাদার স্তরউচ্চতর হোচ্ছে।

এরকম আনিসে ভরে উঠেছে জনপদ।

এর থেকে সুরক্ষার উপায় কি?

বাকিতে বা দাদনের মাধ্যমে হাস মুরগী মাছের ব্যাবসায়িক জালে না জরানো।

একটা সরল উদাহরণ দেই। ১০০০ মুরগী পালনে ৫৫ বস্তা ফিড দরকার পড়ে ৩৫০০ টাকা বস্তাতে ১,৯২,০০০ টাকা হয়। এর থেকে ভালো ফিড লোকাল কোম্পানি থেকে কেনা যায় ২৭০০ টাকা বস্তা, ৫৫ বস্তার দাম পড়ে ১,৪৮,৫০০ টাকা। কিন্তু সেটা বাকিতে না কিনে নগদে কিনতে হয়। ৪৪,০০০ টাকা বেচে যায় কৃষকের শুধু মাত্র নগদ টাকা দিয়ে ফিড কেনার কারনে।

এই পুরো টাকাটা কৃষকের অধিকার যা দাদনের মাধ্যমে কৃষকের থেকে নিয়ে নেয়া হয় এবং বছর গুরতে কৃষক সচ্ছলতার বদলে ঋনের বোঝাতে আটকে যায়।

Leave a comment

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.