যৌনতা, চেতনা এবং অমরত্ব

আজ যে প্রানকুল আমরা চারিপাসে দেখি তারা এই অর্থে অমর যে প্রান সৃস্টির পড়ে এখনও তারা বহুকাল প্রজন্ত প্রান সৃস্টির প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাবে এবং জ্বিনগত অমরত্ব রক্ষা করবে। 

যৌনতা হল সেই পুরস্কার যা আমরা প্রান তৈরীতে পেয়ে থাকি। এটা একটা প্রক্রিয়া। 

এই প্রক্রিয়াটা দীর্ঘ এই অর্থে যে একটা নতুন প্রান ধর্ষন কর্ষন এর ফলে তৈরী না হয়ে যদি প্রনয় প্রেমের মধ্যে তৈরী হয় তবে প্রানটিকে বাচিয়ে রাখতে যে সংযুক্তি সম্পৃক্ততার দরকার হয় তার প্রশিক্ষন সহ আমরত্বের প্রবাহটা ঠিকঠাক মত চলে। 

ধর্ষন এজন্যই সামাজিক এবং অন্য প্রাতিষ্টানিক কাঠামোতে প্রান প্রবাহের পরিপন্থী এবং যুদ্ধ কালিন ধর্ষন সভ্যতায় প্রনয়হীনতার দাগ রেখে যায়। যারা সফল যোদ্ধা তাদের শরীরের আনন্দবিন্দু আবিস্কারের প্রক্রিয়ায় যুদ্ধ ফলের সবকিছু ব্যায় হয়, সেটা হতে পাড়ে নারী, কৃতদাস, অধিকৃত সম্পদ। যোদ্ধার জন্য যেটা অধিকার তার ব্যাবহৃত জিনিস গুলোর জন্য তা হয় অপব্যবহার, অবিশ্বাসের। এই শিক্ষা চারিদিকে আরও অপব্যবহার এবং অবিশ্বাস তৈরী করে। তার সেই অবিশ্বাস আরও যুদ্ধ এবং সেই যুদ্ধ আরও র্ধষনের তৈরী করে। এটাই এখন বিশ্বব্যাপি চলমান ব্যাবস্তা অচেতনতার অবক্ষয় এবং নিস্প্রভ মৃত্যু। 

ভুমধ্যসাগরিয় যুদ্ধাবস্থার প্রাকৃতিক পর্যলোচনা এই লেখার নির্মানে ইতিহাসিক তর্কের উদ্রেক করতে পাড়ে তাবে এই ভুমধ্যসাগরিয় অঞ্চলের বাইরে বহুদুরে যে বাগানবিলাসি,  ফুল ও ফলরাসি, উচ্চহাসি আর রাগমোচনের যে বর্ননা তা এখনও পাঠযোগ্য এবং তার বৈপরীত্যে উপভোগ্য। 

সামাজিক স্তরে অমরত্বের প্রবাহ টা ঠিক রাখার আগের নরনারীর বোঝাপড়াটাই প্রেম। সেটা উৎসবে উৎসবে যে ঢেউ তৈরী হয় তাতে আগায়।

এই কৃষি কৃস্টি নরনারীর বোঝাপড়া তৈরীতে রাগ, অনুরাগ আর যে রাগমোচনের নৃত্য গীতের মধ্য দিয়ে যায় তাই প্রেম আর এই প্রেম প্রনয় থেকে তৈরী হয়।

কৃষ্টি শব্দটি রাবিন্দ্রনাথ ঠাকুর তার সহকারি সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় কে দিয়ে সংস্কৃতি বানিয়ে ফেলেছে সেটা অন্য গল্প সে গল্পে যাচ্ছিনা তবে সংস্কৃতিক উৎসব বলতে আমরা যা বুঝি তা যে কৃষি কৃস্টি আর সংস্কৃতিক আগ্রাসন যে প্রনয়ের মঞ্চের দীর্ঘ সভ্যতার ভাঙ্গন সেটা বুঝতে শব্দের বন্ধত্বের ধারাবাহিকতার চেতনা লাগে।  এবারে সংস্কৃতিক আগ্রাসন বোঝা যাবে। ইসলামিক নরনারীর প্রেম পর্দা সর্বস্য, পর্দার আড়ালে বোধকরি তাহা সুমিষ্ট দেখেছি অনেক পর্দানশীলাকে তার সঙ্গীনির নাম বলতেই সারা শরীর নেচে উঠেছে, এই পর্দানশীলার সামাজিক অবয়বের কাছে সংস্কৃতিক আগ্রাসহ হল বে পর্দা নরনারীর অমরত্বের প্রক্রিয়াতে অংশগ্রহন করা। 

কৃষ্টি থেকে আগাতে গেলে প্রনয়ের একটা শুদ্ধ পথপরিক্রমা আমরা পাই, বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের মিশ্রপ্রনয় তা কিভাবে বহুশুদ্ধ আসম্ভব করে ফেলেছে এবং তা কিভাবে ধর্ষনিয় অপব্যাবহার তৈরী করে তার আলাপের প্রসাঙ্গিকতা পড়ে তুলছি। 

কথক এর মুদ্রার একটা অস্পষ্ট গল্প আছে যা মানুষের জন্ম, বেরেওঠা, নরনারীর দৃস্টি বিনিময়, ছোয়া, পলায়ন, শরীরের যৌনবৃত্তিয় পরিবর্তন, সঙ্গম, সন্তান এবং আবার জন্মকে নির্দেশ করে।  প্রনয়সূত্র কামসূত্র আনন্দবাগান ধরনের সাহিত্য পরিবেশ নির্দেশক।  কৃষি কৃস্টির সভ্যতায় প্রনয় থেকে যে প্রেমের উদ্ভব হবে তাতে এই গল্প আর পরিবেশ লাগে।  

সহজিকরনে 

“আঙ্গুল বাগানে শৈগো কমলা বাগানে,

পূর্মামা রাসে, চোখে চোখ হাসে। 

আমার বাড়ি নদী ছারি সামনের রাসে হাত ধরি,

পরের রাসে পিঠার খেয়ে মধুর চুম্বন যদি পাড়ি,

পড়ের দোলে দুলুনিতে যদি প্রনয় হয়,

শরীর তখন বুঝবে সন্তানের হৃদয়। “

মানে প্রত্যেক পূর্নামা আমাবস্যাতে নরনারীর কোন একটা উৎসবে দেখা হয়, তাদের চোখাচোখি হয়, হাত ধরাধরি তারপড় একে অন্যের বাড়িতে অমন্ত্রিত হওয়া তারপড় হয়ত চুম্বন তারপড় প্রনয়।  এই প্রনয়ের আগে প্রেম হওয়া সম্ভব না। এই টুকু সামাজিকিকরনের মধ্যেও পড়ে না।  এর পড়ে সামাজিকিকরনের উৎসব তৈরী হয়, নরনারী যদি কোন সংকটের মধ্য দিয়ে যায় তখন প্রনয় গভিরতর হয় আর প্রেম অবসম্ভাবি হয়ে ওঠে। 

প্রনয় না হলে সংকটকালে প্রনয়নী দুরে সরে যায়। 

এগুলোই মোটাদাগে প্রাথমিক প্রস্তাবনা।

অমরত্ব হীন মানবিয় কিম্বা বিভৎস প্রক্রিয়ার কথা বলি। 

যুদ্ধ যোদ্ধা ধর্ষন যে যৌনাকাঙ্খার তৈরী করে সেখানে দুয়ের অধিক জনের অংশগ্রহন হয়, তিনজনের, চারজনেন কিম্বা তারও অধিক জনের অংশগ্রহনের যৌনাচার আমরা দেখি।  এখান থেকেও বীরেরা তাদের আনন্দ হয় এমন নর কিম্বা নারী অন্য নারীকে পছন্দ করে।  এই যৌনাচার সন্তান উৎপাদন করেনা। 

আরেকটা দৃষ্টিকোন বলি। সামর্থবান নারী পুরুষ পৃথিবীতেই কম আছে,  যাদের কারনে সামর্থবান ভবিষ্যত প্রজন্ম তৈরী হবে। এরা সম্পন্ন যৌনতায় অংশগ্রহনেও অক্ষম, তার ফলাফল ও অক্ষম নিকৃষ্ট মানবগোষ্ঠী তারা সম্পন্ন যৌনাকাঙ্ক্ষার জন্য অনেকে মিলিত হয় কিম্বা পুরুষ এবং পুরুষে মিলিত হয় কিম্বা নারী নারীতে মিলিত হয়। এবং সম্পন্ন নারী পুরুষের কিম্বা অসম্পন্ন নারী পুরুষেরা দ্বায়িত্বহিন যে সন্তান উৎপাদন করে তার প্রতিপালনে কাজে লাগে।  এই পিতৃত্ব কিম্বা মাতৃত্ব তাকে বেশি বয়সে সঙ্গের নিশ্চয়তা দেয়। 

যুদ্ধ এবং অসর্থমানুষের অমরত্বের বাসনাহীন ক্ষিন জীবনের আলোচনা এবং চেতনার সম্পর্ক দুটোই অমরত্ব নির্দেশক। কোন চেতন জীব চায়না অচেতন হতে। মানে সব চেতনাই অমর হতে চায়। 

ক্লাসিকাল অমরত্ব হল জিনগত এবং জীনের প্রতিপালন। এজন্য নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠী কে তার গোস্টির রক্তের মধ্যে সন্তান উৎপাদনের বিধিনিষেধ আছে এবং এই নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠী বেশিরভাগই মাতৃতান্ত্রিক, নৃতাত্ত্বিক গোস্টিগুলো যখন মুলপ্রবাহর সাথে মিশে পুরুষতান্ত্রিক হয়ে ওঠে তখনও তাদের মায়ের বংশের রক্ত মিশ্রনের বাধার প্রথা পদ্ধতি চালুথাকে যদি তাদের রক্তের শ্রেনী গুলো আধুনিক ল্যাবরেটরির মাপঝোকে ভিন্ন এবং এই সংমিশ্রণের প্রথা পদ্ধতি হাস্যকর। 

চেতনা পৃর্বস্মৃতি থেকে আসে, এই স্মৃতি সংরক্ষণের পদ্ধতি ক্ষয়িষ্ণু, মানুষ্য মস্তিষ্ক অথবা তৈরী হওয়া বিকল্প স্মৃতি ধরনের যন্ত্র স্মৃতি সংরক্ষণের পড়ে তা ক্ষয়হিন ভাবে সংরক্ষণে অক্ষম। ক্ষয়িষ্ণু স্মৃতিথেকে পূর্নচেনতা পাওয়া যায় না। 

আমরা যদি মনে করি স্মৃতিহীন নতুন শরীর অমরত্ব নির্দেশক নয়, অথবা ক্ষয়িষ্ণু চেতনার স্মৃতিও অমরত্ব নির্দেশক নয়। তাহলে উন্নত সন্তান এবং অক্ষয়িস্নু স্মৃতি সংরক্ষণ ব্যাবস্থা তৈরীর নিরন্তর পথচলা আমাদেরকে সাইবোর্ড বা দেবত্বে রুপান্তর করবে। 

পৃথিবী সেই প্রবনতায় ধাবমান, প্রনয় প্রেমেই তার চালক,  যে যত্নে হাজার বর্সি সন্ন্যাসী তার প্রেম সম্পদকে তালপাতায় স্মৃতি হিসেবে লিখে রেখেছিল তাই আজ আমাদের যৌথ স্মৃতি। যৌথস্মৃতির লাইব্রেরী হিন আমরা জঙ্গলবাসি বাদর। 

উন্নতজিন আর স্মৃতির অসামর্থ আমাদের যে বুদ্ধিবৃত্তিতে অভস্ত করে দিচ্ছে তার যদি চেতনা তৈরী হয়,  তা আমাদের আরো অনুন্নত এবং বিস্মৃত পদার্থে পরিনত করবে। তাই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাথে অমর মানুষের লড়াই চলমান।  অস্পষ্টতার বিরুদ্ধে জীনের লড়াই সৃষ্টি থেকে,  তার প্রনয় যে যৌক্তিক কাঠামো তৈরী করেছে তার অবয়ব মানুষ্য শরীর কাঠামো এবং এর পরিবর্তন হোচ্ছে প্রনয় চেতনা থেকে। এই প্রনয় চেতনা এই কাঠমোর আরও উতরোত্তর পরিবর্তন করবে। 

পরিশেষে এই উপাস্থপনার কোন অংশে বিষদ ভাবনা কথোপকথনের জ্ঞান থেকে আবার লেখা যাবে। সরাসরি আলোচনায় অংশ নিতে যোগাযোগ করুন। 

Leave a comment

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.